শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯ অপরাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক: অবশেষে এস এম রইজ উদ্দিনের স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিল করা হয়েছে। বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন জাতীয় পুরস্কার ও পদক সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
গত ২০শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২০ পাওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করে সরকারের মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ। নয়জন ব্যক্তি এবং একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই তালিকায়। এরপর থেকে তালিকা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় দেশে। এমনও বলা হয়- ভুলভাল শব্দে লেখা এই ব্যক্তির কবিতার বই দেখে লোকে ভিরমি খেয়েছে।
বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান তার ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘এবার সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার পেলেন রইজউদ্দীন, ইনি কে? চিনি না তো। কালীপদ দাসই বা কে! হায়! স্বাধীনতা পুরস্কার!’
এভাবে আরও অনেক মানুষ রইজ উদ্দিনকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার বিরোধিতা করেন। প্রখ্যাত জাদুশিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা জুয়েল আইচ লিখেছিলেন, ‘ একাত্তরের ভয়াবহ পিশাচ শর্ষিণার ‘পীর’ আবু সালেহকে দেওয়া স্বাধীনতা ও একুশে পদক আর ২০২০ এর ‘মহাকবি’ রইজ উদ্দিনদের স্বাধীনতা পদক কেড়ে নিতেই হবে। জাতীয় পাপ স্খলনের এটাই সময়। এর কোন বিকল্প নেই।’
এবার সংশোধিত তালিকা অনুযায়ী এই পুরস্কার পাচ্ছেন- স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের জন্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক, মরহুম কমান্ডার (অব.) আবদুর রউফ, শহীদ বুদ্ধিজীবী মুহম্মদ আনোয়ার পাশা ও আজিজুর রহমান; চিকিৎসাবিদ্যায় অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী ও অধ্যাপক ডা. এ কে এম এ মুক্তাদির; সংস্কৃতিতে কালীপদ দাস ও ফেরদৌসী মজুমদার। এ ছাড়া শিক্ষায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ভারতেশ্বরী হোমস্ এবার স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছে। সংশোধিত তালিকাতে সাহিত্যে কারও নাম উল্লেখ নেই।